থাইল্যান্ডের ব্যাংককের উপকণ্ঠে অবস্থিত ওয়াট র্যাট প্রাখং থাম বৌদ্ধ মন্দিরে দাহের প্রস্তুতি চলাকালে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে। দাহ্য অনুষ্ঠান চলাকালে কফিনের ভেতর থেকে হালকা শব্দ শুনে কর্তৃপক্ষ প্রথমে বিস্মিত হন। পরে কফিন খুলে দেখা যায়, এক নারী চোখ খুলে বসে আছেন এবং কফিনের দেয়ালে হালকা আঘাত করছেন। মন্দিরের মহাব্যবস্থাপক পাইরাত সুদথুপ জানিয়েছেন, তিনি সেদিন প্রথমে এ শব্দ শুনে চমকে যান, এরপর বুঝতে পারেন যে ওই নারী সম্ভবত বেশ কিছুক্ষণ ধরে কফিনে ধাক্কা দিচ্ছিলেন।
নিরাপত্তার জন্য দ্রুত নারীর স্থিতি যাচাই করে দেখলে নিশ্চিত হয়, তিনি জীবিত। তার পরিবারের ছোট ভাইয়ের দাবি, তার বোনের মৃত্যু সংবাদ ধরা হয়েছিল। তবে মন্দিরের কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা যায়, ভাইয়ের কাছে কোনও মরদেহের সনদ ছিল না, যখন তিনি মরদেহের উদ্ঘাটনের প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করছিলেন, তখনই আবার কফিন থেকে শব্দ শুনতে পান কর্মীরা।
নারীটি জীবিত থাকায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকদের পরীক্ষায় জানা যায়, তিনি গুরুতর হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় ভুগছিলেন, অর্থাৎ রক্তে শর্করার মাত্রা মারাত্মকভাবে কমে গিয়েছিল। তবে ডাক্তাররা নিশ্চিত করেছেন, তাকে শ্বাসকষ্ট বা হৃদরোগে আক্রান্ত হননি।
অপরদিকে, নারীর ছোট ভাই জানিয়েছেন, তার বোন গত দুই বছর ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন। মন্দিরের ব্যবস্থাপকের ধারণা, স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার কারণে শনিবার তার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হয়।
পরিবারটি থাইল্যান্ডের ফিটসানুলোক প্রদেশ থেকে দাহের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ব্যাংককে আসছিলেন। দীর্ঘ প্রায় ৫০০ কিলোমিটার (৩১১ মাইল) পথ পাড়ি দিয়ে তারা এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসেছিলেন।
Leave a Reply